বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তির বিশ্বে, সরকারী সেবাগুলি বেশ উন্নত হচ্ছে। যার মধ্যে একটি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হলো পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদনের সুযোগ। বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট প্রযুক্তিতে সরকারী পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছে, যা নাগরিকদের তাদের ঘরে বসেই আবেদন করার সুযোগ করে দিচ্ছে।। এই গাইডের মাধ্যমে আমরা এই প্রক্রিয়ার মূল অংশগুলি বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে আবেদনকারীদের জন্য এটি একটি সহজ অভিজ্ঞতা হয়।
অনলাইনে প্রথম আবেদন করুন
নতুন ই-পাসপোর্ট পেতে অনলাইনে প্রথমত আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট পোর্টালে ভিজিট করে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ট থানা সিলেক্ট করতে হবে। এরপর, একটি ইমেইল এড্রেস ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করে সাইন ইন করতে হবে। তারপরে আবেদনকারীর তথ্য, পিতা-মাতার তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে অনলাইন আবেদন সাবমিট করতে হবে।
ফি পরিশোধ করুন
আবেদন সাবমিট করার পর আপনাকে এ-চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে এবং বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের কাগজপত্র
নতুন ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো:
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ
- অনলাইন আবেদন ফরমের কপি
- আবেদনকারীর পেশাগত প্রমাণ (পেশাগত সনদ বা Employer ID)
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি
- চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও বাড়ির ইউটিলিটি বিলের কপি (পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য)
ই-পাসপোর্ট ফি
ই-পাসপোর্টের ফি নির্ভর করে পাসপোর্টের মেয়াদকাল, পৃষ্ঠা সংখ্যা ও ডেলিভারির ধরনে। সাধারণ ফি হলো:
- ৪৮ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৪,০২৫ টাকা, এক্সপ্রেস – ৬,৩২৫ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ৮,৬২৫ টাকা
- ৬৪ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৬,৩২৫ টাকা, এক্সপ্রেস – ৮,৬২৫ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ১২,০৭৫ টাকা
নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইনে পূরণের ধাপগুলো
- রেজিস্ট্রেশন করুন: প্রথমত, পোর্টালে যান এবং “Apply Online” অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
- লগইন করুন: সাইন ইন পেজে গিয়ে আপনার ইমেল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- পাসপোর্ট টাইপ নির্বাচন করুন: “Ordinary Passport” নির্বাচন করুন।
- ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করুন: আবেদনকারীর নাম, পেশা, জন্মতারিখ ইত্যাদি পূরণ করুন।
- ঠিকানার তথ্য পূরণ করুন: স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানার তথ্য দিন।
- আইডি ডকুমেন্ট সিলেক্ট করুন: NID কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দিন।
- পিতা-মাতার তথ্য ও বৈবাহিক অবস্থা পূরণ করুন: পিতা-মাতার নাম, পেশা, জাতীয়তা ইত্যাদি পূরণ করুন।
- জরুরী যোগাযোগের তথ্য দিন: কোনো একজনের তথ্য ও মোবাইল নম্বর দিন।
- পাসপোর্ট অপশন ও ডেলিভারি অপশন নির্বাচন করুন: পাসপোর্টের পৃষ্ঠার সংখ্যা, মেয়াদ এবং ডেলিভারি অপশন নির্বাচন করুন।
- আবেদন সাবমিট ও ফরম ডাউনলোড করুন: সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদন সাবমিট করুন এবং ফরমটি ডাউনলোড করুন।
- আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন: অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে জানতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। তারপর বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার পর অ্যাপ্লিকেশন স্লিপ পাবেন যা দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন: পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করুন।
ই-পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
পাসপোর্ট সংগ্রহ করার পর, আপনি চেক করতে পারেন এমন পাসপোর্ট স্ট্যাটাসের জন্য আপনার মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাবেন।
এই সম্পূর্ণ গাইডটি আপনার নতুন ই-পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে আশা করি।
পরিসংক্ষেপ: নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদনের পদক্ষেপমূলক গাইড শেষ হলো। আমরা আশা করি এই গাইডটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে এবং আপনি এখন অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার প্রস্তুতি নিয়ে থাকবেন।